December 21, 2024, 10:53 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বেড়িয়ে এসেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জাল সনদ ব্যবসা কান্ড। প্রায় ১৫ বছর ধরে সনদ জালিয়াতি চক্র এই কাজ করে চলেছে। এই দীর্ঘ সময়ে ৩৫টি ইনস্টিটিউট সাড়ে ৫ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে। এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলি অনতম। এই ৬ জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। নজরদারিতে রয়েছে আরও ৩০ জন।
এছাড়া সদ্য বিদায়ি চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তথ্য বলছে, সারা দেশের বিভিন্নস্থানে এমপিওভুক্ত ও নন এমপিওভুক্ত কারিগরি কলেজ ও ইনস্টিটিউট আছে। আইন অনুযায়ী এখানে এমপিও ধরে রাখতে পাশের নির্ধারিত কোটা আছে। আবার নন এমপিওদের এমপিওভুক্তি পেতেও পাশের কোটা আছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে কোটা অনুযায়ী পাশ করত না, তারাই এখানে পাশের কোটা বাড়াতে অসততার আশ্রয় নিত। আবার অনেকে কারিগরি বোর্ডের কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তিই হয়নি তারাও টাকার বিনিময়ে নিত সনদ।
কুষ্টিয়ার গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা কলি দীর্ঘদিন ধরে এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। তিনি বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। সানজিদা কলি জানিয়েছেন, আলী আকবর খান চেয়ারম্যান হলেও তার খুব বেশি সচ্ছলতা ছিল না। ফলে তার স্ত্রীর শখ-শৌখিনতা খুব বেশি পূরণ হয়নি। আর এটাকেই সুযোগ হিসেবে নেন তিনি। বাসায় গিয়ে সেহেলা পারভীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। নানা ধরনের উপহার নিতে যেতেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে অবৈধ অর্থের প্রলোভন দেখান। তাতেই সায় দেন সেহেলা। পাঁচ-ছয় মাস ধরে এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
কারাগারে সেহেলা পারভীন: সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এই আদেশ দেন। গতকাল সেহেলা পারভীনকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।
এদিকে, কুষ্টিয়ার গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে যেসকল জাল সনদ প্রদান করা হয়েছে সেগুলো নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে। কুষ্টিয়া পুলিশের একটি সূত্র জানায় কাউকে কোনরকমেই ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply